========================================================
“TAYYIB-তায়্যিব” একটি বহুমুখী অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যা বিশুদ্ধতা, আস্থা ও নির্ভরযোগ্যতার প্রতীক। “তায়্যিব” শব্দটি আরবি, অর্থ— ভালো, খাঁটি, পবিত্র, বিশুদ্ধ, সুন্দর ও হালাল। আমরা বিশ্বাস করি—খাঁটি চিন্তা, বিশুদ্ধ খাদ্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্যই সুন্দর সমাজ গড়ে তোলে।
তায়্যিব কেবল একটি ওয়েবসাইট নয়। এটি আপনার প্রতিদিনের জীবনকে সহজ, সুন্দর ও পরিপূর্ণ করতে গড়ে ওঠা একটি বিশ্বস্ত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও কমিউনিটি—যেখানে একসাথে আছে তথ্য, জ্ঞান, সেবা ও খাঁটি পণ্য।
আমাদের প্রধান ওয়েবসাইট “www.tayyib.org“-এ প্রবেশ করলে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটের লোগো দেখতে পাবেন। প্রতিটি লোগোতে ক্লিক করে আপনি সহজেই বিভিন্ন ধরণের কেনাকাটা করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারবেন।
আমাদের ওয়েবসাইট ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ রইল। এতে আপনার প্রয়োজনের সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে। ধন্যবাদ।
========================================================
পাহাড় চূড়ায়
লেখকঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
অনেকদিন থেকেই আমার একটা পাহাড় কেনার শখ।
কিন্তু পাহাড় কে বিক্রি করে তা জানি না।
যদি তার দেখা পেতাম,
দামের জন্য আটকাতো না।
আমার নিজস্ব একটা নদী আছে,
সেটা দিয়ে দিতাম পাহাড়টার বদলে।
কে না জানে, পাহাড়ের চেয়ে নদীর দামই বেশী।
পাহাড় স্থানু, নদী বহমান।
তবু আমি নদীর বদলে পাহাড়টাই কিনতাম।
কারণ, আমি ঠকতে চাই।
নদীটাও অবশ্য কিনে ছিলামি একটা দ্বীপের বদলে।
ছেলেবেলায় আমার বেশ ছোট্টোখাট্টো,
ছিমছাম একটা দ্বীপ ছিল।
সেখানে অসংখ্য প্রজাপতি।
শৈশবে দ্বীপটি ছিল আমার বড় প্রিয়।
আমার যৌবনে দ্বীপটি আমার
কাছে মাপে ছোট লাগলো।
প্রবহমান ছিপছিপে তন্বী নদীটি বেশ পছন্দ হল আমার।
বন্ধুরা বললো, ঐটুকু
একটা দ্বীপের বিনিময়ে এতবড়
একটা নদী পেয়েছিস?
খুব জিতেছিস তো মাইরি!
তখন জয়ের আনন্দে আমি বিহ্বল হতাম।
তখন সত্যিই আমি ভালবাসতাম নদীটিকে।
নদী আমার অনেক প্রশ্নের উত্তর দিত।
যেমন, বলো তো, আজ
সন্ধেবেলা বৃষ্টি হবে কিনা?
সে বলতো, আজ এখানে দক্ষিণ গরম হাওয়া।
শুধু একটি ছোট্ট দ্বীপে বৃষ্টি,
সে কী প্রবল বৃষ্টি, যেন একটা উৎসব!
আমি সেই দ্বীপে আর যেতে পারি না,
সে জানতো! সবাই জানে।
শৈশবে আর ফেরা যায় না।
এখন আমি একটা পাহাড় কিনতে চাই।
সেই পাহাড়ের পায়ের
কাছে থাকবে গহন অরণ্য, আমি সেই অরণ্য পার হয়ে যাব, তারপর শুধু রুক্ষ
কঠিন পাহাড়।
একেবারে চূড়ায়, মাথার
খুব কাছে আকাশ, নিচে বিপুলা পৃথিবী,
চরাচরে তীব্র নির্জনতা।
আমার কষ্ঠস্বর সেখানে কেউ শুনতে পাবে না।
আমি ঈশ্বর মানি না, তিনি আমার মাথার কাছে ঝুঁকে দাঁড়াবেন না।
আমি শুধু দশ দিককে উদ্দেশ্য করে বলবো,
প্রত্যেক মানুষই অহঙ্কারী, এখানে আমি একা-
এখানে আমার কোন অহঙ্কার নেই।
এখানে জয়ী হবার বদলে ক্ষমা চাইতে ভালো লাগে।
হে দশ দিক, আমি কোন দোষ করিনি।
আমাকে ক্ষমা করো।






