Home গল্প নীলনয়না

নীলনয়না

========================================================

TAYYIB-তায়্যিব” একটি বহুমুখী অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যা বিশুদ্ধতা, আস্থা ও নির্ভরযোগ্যতার প্রতীক। “তায়্যিব” শব্দটি আরবি, অর্থ— ভালো, খাঁটি, পবিত্র, বিশুদ্ধ, সুন্দর ও হালাল। আমরা বিশ্বাস করি—খাঁটি চিন্তা, বিশুদ্ধ খাদ্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্যই সুন্দর সমাজ গড়ে তোলে।

তায়্যিব কেবল একটি ওয়েবসাইট নয়। এটি আপনার প্রতিদিনের জীবনকে সহজ, সুন্দর ও পরিপূর্ণ করতে গড়ে ওঠা একটি বিশ্বস্ত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও কমিউনিটি—যেখানে একসাথে আছে তথ্য, জ্ঞান, সেবা ও খাঁটি পণ্য।

আমাদের প্রধান ওয়েবসাইট “www.tayyib.org-এ প্রবেশ করলে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটের লোগো দেখতে পাবেন। প্রতিটি লোগোতে ক্লিক করে আপনি সহজেই বিভিন্ন ধরণের কেনাকাটা করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারবেন।

আমাদের ওয়েবসাইট ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ রইল। এতে আপনার প্রয়োজনের সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে। ধন্যবাদ।

========================================================

নীলনয়না

লেখকঃ সাঈদা নাঈম

“সাঈদা নাঈম” লেখকের অন্য লেখাগুলো পড়তে লিংকে ক্লিক করুন

শরীফা বিছানায় শুয়ে আছে। ঘুম আসছে না। প্রচন্ড গরমে গা ঘেমে একাকার। স্বামী থাকে চট্টগ্রাম ব্যবসার কারণে। মাসে সুযোগ পেলে একবার দুবার আসে। বিয়ে হয়েছে এখনও এক বছর হয়নি।

এখানে ও ছাড়াও সঙ্গে থাকে শ্বাশুড়ি ও এক দেবর। শরীফা প্রায়ই ওর ঘরের দরজায় ঘটঘট শব্দ শুনতে পায়। ও শুনেও না শোনার ভান করে চুপ হয়ে থাকে।

কিন্তু এখন যে গরম! তাই দরজা জানালা খুলে শুয়েছে। ঘরের লাইট বন্ধ, বাইরে থেকে যতটুকু আলো আসছে তাতে জিনিসপত্র ঠিকমতো দেখা যায় না। পানির বোতলটা সামনে এনে রাখলো।
এ পাশ ও পাশ করতে করতে শরীফার প্রায় ঘুমভাব। এমন সময় দরজায় শব্দ হলো। দরজা তো খোলা। কে ঢুকলো রুমে! চোখ খুলল, কিছু দেখতে পেলো না। মনের ভুল ভেবে আবার শুয়ে পড়লো। ডানপাশে কাত হয়ে শরীফা শুয়ে আছে। এমন সময় পেছন থেকে একটি হাত ওকে জড়িয়ে ধরলো। শরীফা তো হতভম্ব! সাথে ভয়। কে দেখার জন্য পাশ ফিরতে চাইলো কিন্তু ব্যর্থ হলো। দুইহাত দিয়ে শরীফাকে জোর করে ধরে রেখেছে। খারাপ কিছু যে করতে চাইছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে। কোনোভাবে শরীফা পাশটা ঘুরতে পেরেছে। অন্ধকারে মুখ চেনা যাচ্ছে না তবে শরীফার চোখ দুটি জ্বলজ্বল করছে। নীলনয়না শরীফা অগ্নিদৃষ্টিতে তাকালো। লোকটি নীল আলীর আভা দেখে দৌড়ে বের হয়ে গেল।

পরদিন সকালে শ্বাশুড়ির কান্নাকাটিতে ঘুম ভেঙে গেল।

শরীফার দেবরের মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে আর চোখ দুটো যেন কোটোর থেকে বের হতে চাচ্ছে, গোঙাচ্ছে। এমন অবস্থায় শ্বাশুড়িকে শরীফা বলল পাশের বাড়ির চাচাকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে, অবস্থা খুবই খারাপ।

সেই রাতে কি তাহলে শরীফার দেবর ছিল! শরীফা কিছু করেনি, করেছো ওর নীল চোখ। কী আছে নীল চোখে! কোনো অলৌকিক শক্তি!

Exit mobile version