Home গল্প জলসাঘর (পর্ব ০১)

জলসাঘর (পর্ব ০১)

========================================================

TAYYIB-তায়্যিব” একটি বহুমুখী অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যা বিশুদ্ধতা, আস্থা ও নির্ভরযোগ্যতার প্রতীক। “তায়্যিব” শব্দটি আরবি, অর্থ— ভালো, খাঁটি, পবিত্র, বিশুদ্ধ, সুন্দর ও হালাল। আমরা বিশ্বাস করি—খাঁটি চিন্তা, বিশুদ্ধ খাদ্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্যই সুন্দর সমাজ গড়ে তোলে।

তায়্যিব কেবল একটি ওয়েবসাইট নয়। এটি আপনার প্রতিদিনের জীবনকে সহজ, সুন্দর ও পরিপূর্ণ করতে গড়ে ওঠা একটি বিশ্বস্ত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও কমিউনিটি—যেখানে একসাথে আছে তথ্য, জ্ঞান, সেবা ও খাঁটি পণ্য।

আমাদের প্রধান ওয়েবসাইট “www.tayyib.org-এ প্রবেশ করলে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটের লোগো দেখতে পাবেন। প্রতিটি লোগোতে ক্লিক করে আপনি সহজেই বিভিন্ন ধরণের কেনাকাটা করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারবেন।

আমাদের ওয়েবসাইট ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ রইল। এতে আপনার প্রয়োজনের সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে। ধন্যবাদ।

========================================================

জলসাঘর (পর্ব ০১)

লেখকঃ সাঈদা নাঈম

পল্লবীর স্বামীর হঠাৎ ব্যাবসায় বিশাল লোকসান হয়। পরিস্তিতি এমন যে ঢাকা শহরে জীবনযাপন করা প্রায়ই অসম্ভব। গতান্তর না দেখে মুকুন্দ সিদ্ধান্ত নেয় কিছুদিনের জন্য হলেও গ্রামে পৈতৃক ভিটায় গিয়ে থাকবে। পল্লবীর কিছুতেই ঐ পুরোনো বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছে নেই। আবার না গিয়েও উপায় নেই। তাই স্বামীর কথা মেনে নিল। 

পুরোনো জমিদার বাড়ি। জমিদারি না থাকলেও বাড়িটি আছে, জীর্ণ অবস্থায়। কিছু মেরামতের কাজ সেরে নিলে থাকার উপযোগী হবে। মেনে নিলো পল্লবী। খানসামা নেই, গালিচা নেই, ঝাড়বাতি নেই। শুধু আছে ঘরগুলো। আলিশান ঘর। ইয়া বড় বড়। সবগুলো ঘরে তালা লাগানো, কত বছর যে এ ঘরগুলো খোলা হয় না তা কে জানে! এ ঘরগুলো দেখে পল্লবীর গায়ে কেমন যেন শিহরণ জাগে। বিশেষ করে দক্ষিণ দিকের একটি ঘরের দিকে গেলে কেমন যেন অনুভূতি জাগে।

জমিদার বাড়ির বংশধর বলে কাজের লোকের অভাব হয়নি পল্লবীর। যেমনটা একাকিত্বে কাটবে ভেবেছিল, তেমনটি কাটাতে হলো না। অনেকেরই আনাগোনা এখানে। মুকুন্দ নতুন ব্যবসা শুরু করবে এ নিয়ে প্রায় সন্ধ্যায় আলোচনা হয় সমবয়সীদের সাথে। এখানে পল্লবী চোখ জুড়িয়ে জোছনা দেখতে পারে। গুনগুনিয়ে গান গায় আর রান্না করে। ইতোমধ্যেই সই হয়েছে কয়েকজন।

রাতের আকাশের কোনে শুকতারা জ্বলজ্বল করে জ্বলে ওঠে। তারাদের সাথে পাল্লা দিয়ে আগের মতো জমিদার বাড়ির আলো ঝলমল করে না। এত জৌলুস এখন আর নেই। মুকুন্দেরও সে ক্ষমতা নেই। অকম্পিত ভাবে কয়েকটি বাতি জ্বালিয়ে রাখে।

এমনি এক তারা ভরা রাতে পল্লবী দক্ষিণ দিকের ঘরটির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল, সাথে অবশ্য একজন পরিচারিকা ছিল। হঠাৎ যেন শুনতে পেল একটা শব্দ ঘরটির ভেতর থেকে আসছে। জগ থেকে গ্লাসে পানি ঢালার সময় যে শব্দ হয় তেমন। পরিচারিকাকে বললো, “মতির মা শুনতে পাচ্ছো? ভেতরে কি যেন একটা শব্দ, পানির।”

মতির মা বেশ সাহসী মহিলা। এ কালের সবাই জানে। সে বলল, “কই শব্দ আম্মা! মনে হয় বৃষ্টি হইবো।”

“এমন রাতে বৃষ্টি! কি যে বলো তুমি? আমি শুনলাম।”

“আপনার মনের ভুল আম্মা। চলেন ঘরে যাই। আব্বার আইতে রাইত হইবো। হেই পর্যন্ত আমি থাকমু।”

পল্লবীর মন কিছুতেই মানতে চাচ্ছে না যে ও ভুল শুনেছে। কারো অস্তিত্ব ও টের পেয়েছে!

 

সকল পর্বের লিংক নিম্ন দেওয়া হয়েছে
====================

জলসাঘর (পর্ব ০২)

জলসাঘর (পর্ব ০৩)

জলসাঘর (পর্ব ০৪)

জলসাঘর (পর্ব ০৫)

Exit mobile version